পলাশবাড়ীতে মনগড়াভাবে মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা দেখার যেন কেউ নেই ?

আশরাফুজ্জামান সরকার, গাইবান্ধাঃ- গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল, ফাজিল মাদ্রাসাগুলো অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের মনগড়া মতো পরিচালিত হচ্ছে বলে চলছে সমালোচনার ঝড়। ব্যাপক অনিয়মের ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় নেমেছে ধ্বস। মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকরাও যেমন সঠিক সময়ে উপস্থিত হননা, তেমনি সঠিক সময়ে ছুটিও দেন না। সময়ের আগে বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে চলে যান মাদ্রাসা ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকগণ। উপজেলার বেশ কিছু মাদ্রাসা ও উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্যসহ নানা অভিযোগসহ শিক্ষকদের বিভিন্ন অনিয়মে ভেঙ্গে পড়েছে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা।

বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত হয় না একজন প্রধান শিক্ষক এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৩০ জানুয়ারী সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় ১৯৭২সালে স্থাপিত পলাশবাড়ী উপজেলার বড় শিমুলতলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায় প্রধান শিক্ষক এখনো আসেননি। অপর দিকে প্রধান শিক্ষক দাবী করেন তিনি বিদ্যালয়ের বাহিরেই রয়েছেন। তিনি প্রতিদিন সঠিক সময়েই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন দাবী করলেও শিক্ষার্থীগণ প্রধান শিক্ষকের নাম বলতে পারেনি অপর দিকে আরো ত্রিশ মিনিট থাকার পরেও বিদ্যালয়ে দেখা যায়নি প্রধান শিক্ষক মোজাফ্ফর রহমান সরকার কে। উক্ত বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষক ,৭ জন কর্মচারিসহ মোট সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবী, আপন বড় ভাইকে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে রেখে ইচ্ছানুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধান শিক্ষক মোজাফ্ফর রহমান সরকার। এছাড়াও বেলা ১টার সময় উপজেলা পশ্চিম মির্জাপুর দ্বি – মুখি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, মাদ্রাসার অফিস কক্ষ ও শ্রেনী কক্ষ তালা ঝুলানো।

জানা যায় ,অত্র মাদ্রাসা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকগণ মনগড়া মতো মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন। নানা অনিয়মের কারণে স্থানীয় অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের এ প্রতিষ্ঠানে না দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেন। তারা দাবী করেন বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মনোনীত ব্যক্তিদের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি করে নিয়ে অধ্যক্ষ মনগড়াভাবে মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন। এ বিষয়ে পশ্চিম মির্জাপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জাহিদুর রহমান জানান, বই সংকটের কারণে একটু আগে ছুটি দেওয়া হয়েছে তবে অনিয়মের বিষয়টি সঠিক নয়।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাতাব হোসেন জানান, মাদ্রাসাগুলো ও বিদ্যালয়গুলো কে বারবার বলার পরেও তারা মনগড়াভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করছে আমরা উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে থাকা মাদ্রাসা ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষকদের মনগড়া মতো পরিচালনার হাত হতে রক্ষায় ও শিক্ষার সঠিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জেলা, উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সচেতন মহল।

Spread the love

Leave a Reply

Specify Facebook App ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Facebook Login to work

Specify Twitter Consumer Key and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Twitter Login to work

Specify LinkedIn Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for LinkedIn Login to work

Specify Youtube API Key in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Youtube Login to work

Specify Google Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Google and Youtube Login to work

Specify Instagram App ID and Instagram App Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Instagram Login to work

Your email address will not be published. Required fields are marked *