দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় ১০ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
এর আগে বোচাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাসিনুর রহমান সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাতে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ৭২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
গ্রেফতাররা হলেন কাহারোল উপজেলার অনিক রায় (২০), সদর উপজেলার মহেশ রায় (২১), বোচাগঞ্জ উপজেলার লিখন রায় (৩০), আপন রায় (২৫), বিলাস চন্দ্র রায় (৬০), রাজ কুমার (৫৬), জগদিস রায় (২৫), লক্ষণ চন্দ্র রায় (৩০), মঙ্গলু রায় (৪৫) ও সূর্যদেব ২০।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বোচাগঞ্জ থানা পুলিশ ৯৯৯ থেকে কল করে জানানো হয় যে ২৯ এপ্রিল সকাল ৯ টার সময় কাহারোল উপজেলার ১ নম্বর ডাবোর ইউনিয়নের তিনপুকুর নামক স্থানে বোচাগঞ্জ উপজেলার একজন স্কুল শিক্ষিকাকে কাহারোল উপজেলার দুজন ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় চামদুয়ারি গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম নামে এক অভিযুক্তের বাবাকে আটক করে এলাকা বাসী। পরে তাকে কাহারোল থানার বোচাগঞ্জ উপজেলার ইশানিয়া এস.সি উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ইশানিয়া যুব সংগঠন ক্লাবে আটক করে রাখা হয় বলে জানা যায়।
এসময় পুলিশ উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় জিয়ারুল ইসলামকে হেফাজতে নিতে চাইলে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে চালকসহ পুলিশের পিকআপটি ভাঙচুর করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। এতে পিকআপচালকসহ কয়েকজন পুলিশ আহত হন।
পরে অতিরিক্ত পুলিশের সহযোগীতায় আহতদের উদ্ধার করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে চালক মোস্তাসিন ইসলাম তুহিনকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়।
বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আবু বকর সিদ্দিক রাসেল জানান, ১০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে পুলিশ হয়রানি করবে না। তবে যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তদন্ত করে এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।