আদালতের নথিপত্র জালিয়াতির দায়ে ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতির ঘনিষ্ট আইনজীবী আক্কাস সিকদারকে কারন দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত। গতকাল বিচারক মোঃ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত আদেশনামায় আদালতের হেফাজতে থাকা নথি কাটাকাটি ও ওভার রাইটিংয়ের দায়ে তার বিরুদ্ধে কেনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবেনা স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে তার ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের কপি জ্ঞাতার্থে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও অনুলিপি আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতিকে প্রদান করা হয়েছে।
আদেশনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (সদর) আদালতে এনআই এক্ট্রের (সিআর ৪৮/২২ইং (ঝাল) মামলায় সত্যায়িত কপি, সোমন কপি, বাদীর জবানবন্দীসহ সকল কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় মূল আসামীর নাম শাহজাহান মোল্লা। অন্যদিকে মামলার কম্পিউটার টাইপকৃত অংশে আসামীর নাম শাহজাহান মোল্লা কেটে হাত দিয়ে শাহজামাল লিখে বাদীর আইনজীবী আক্কাস সিকদার অনুস্বাক্ষর করেছে। এমন কি সোমন জারীর প্রথম পাতায় শাহজাহান অংশে ওভার রাইটিং করে শাহজামাল করা হয়েছে। ফৌজদারী মামলায় আসামীর নাম পরিবর্তন আইন সঙ্গত নয় এবং অনুমতি ব্যতীত আদালতের হেফাজতে থাকা নথীতে কাটাকাটি বা ওভার রাইটিং করা দন্ডনিয় অপরাধ বলে কারন দর্শানোর নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবী সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০২২ সালে দায়ের করা এ মামলাটিতে ২০২৩ সালে ২৪ মে তারিখের পর এ জাল-জালিয়াতীর ঘটনা ঘটানো হলেও তৎকালীন আওয়ামীলীগ সমর্থিত আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি এ্যাড. আঃ মান্নান রসুলের প্রত্যক্ষ মদদে আদালতে প্রভাব বিস্তার করে অভিযুক্ত কৌসুলী আক্কাস সিকদার বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে রেখেন। ন্যায় বিচার স্বার্থে ও সাধারন বিচার প্রার্থীদের হয়রানী থেকে রক্ষায় মহামান্য আদালত এ ধরনের ঘটনায় ন্যায়-নিরপেক্ষ পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী দাবী করেন।
এ ব্যাপারে আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. সাহাদাত হোসেন জানান, আদালতের শোকজ নোটিশের অনুলিপি পেয়েছি। একজন আইনজীবীর এ ধরনের কর্মকান্ড সঠিক নয়। বিষয়টি পুরো আইনজীবীদের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করেছে। তাই এবিষয়ে আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মাধ্যমে সকল আইনজীবীর মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।