গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) শূণ্য আসনের ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রাথী এ্যাডভোকেট গোলাম শহীদ রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪হাজার ৭৫২ ভোট।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। তবে ভোট নিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া আলোচিত এই উপ-নির্বাচন ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তি পূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। রাত সাড়ে আট টায় নির্বাচন কমিশন থেকে ১৪৫টি কেন্দ্রের সবকটির ফলাফল ঘোষনা করে। এতে নৌকা প্রতিকের প্রাথী মাহমুদ হাসান রিপন ৩৩ হাজার ৫৩৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়।
সাঘাটা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ৮৮ টি এবং ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৫৭টিসহ মোট ১৪৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে একটানা ভোট গ্রহণ চলে। এবারও কেন্দ্রগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এ নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ায় ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হচ্ছেন- আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)। কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। ৩২ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
সাঘাটা-ফুলছড়ি উপজেলায় ১৭টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এরমধ্যে মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন ও পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন। সাঘাটা-ফুলছড়ি দুই উপজেলা মিলে ১৪৫ টি ভোট কেন্দ্রে ৯৫২টি কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হয়।
এদিকে, ভোট সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ করতে ২১ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর পাশাপাশি র্যাবের ৮টি টীম, ৫ প্লাটুন বিজিবি, বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, স্ট্রাইকিংফোর্স, আনসারসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন নিয়োজিত ছিল।
এদিকে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বিজয়ী পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আজকের দিনটির জন্য মানুষজন অপেক্ষা করছিল। তিনি বলেন, এই জয় বাংলাদেশের উন্নয়নের জয়, শেখ হাসিনার জয়।
অপরদিকে, জাতীয় পার্টির ল্ঙাল প্রতিকের প্রাথী এ্যাডভোকেট গোলাম শহীদ রঞ্জু বলেন, সাধারণ ভোটারদের হুমকী ও ভয়ভীতি দেখানো একারণে ল্ঙ্গালের সমর্থকেরা ভোট দিতে আসেনি। কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ল্ঙ্গাল প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান জানান, জনগণ স্বাচ্ছন্দে ইচ্ছেমতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, কেন্দ্রের বাইরে ও ভেতরের পরিবেশ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ছিল।
গত ২৩ জুলাই জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া মৃত্যুতে ওই আসনটি শূণ্য হয়। পরে নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গেল বছরের ১২ অক্টোবর এই শূণ্য আসনে নির্বাচন ঘোষনা করে। কিন্তু ভোট চলাকালীন সিসি ক্যামেরায় ব্যাপক অনিময়ন পরিলক্ষিত হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
সংবাদটি শেয়ার করুন,