
গাইবান্ধায় দুইমাস পর আদালতের নির্দেশে চান্দু মিয়া ( ৬৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের কবর থেকে এ মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।মৃত চান্দু মিয়া ওই গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে।
এসময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মৌমিতা গুহ ও সদর থানার পুলিশসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল রহমান সাংবাদিকদের জানান,আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে।
জানা যায়,দীর্ঘদিন থেকে সদর উপজেলার কুপতলা ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মতিন মিয়া ও তার লোকজনের সঙ্গে একই গ্রামের চান্দু মিয়ার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে।
চলতি বছরের শুক্রবার ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় চান্দু মিয়া পাশ্ববর্তী বালাআটা বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আসামীর বসতবাড়ির পাশে চান্দু মিয়াকে মাটিতে পরে থাকা অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা।এসময় তাকে উদ্ধার করে বালাআটা বাজারে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এরপর বাজারের স্থানীয় চিকিৎসক চান্দু মিয়াকে মৃত্যু বলে জানান।
পরের দিন সকালে অভিযুক্তরা চান্দু মিয়ার সাধারণ মৃত্যু দেখিয়ে তরিঘড়ি করে মরদেহ দাফন করে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ২৮ অক্টোবর সদর থানায় মামলা করতে গেলে কর্তব্যরত অফিসার থানায় মামলা গ্রহণ না করে আদালতে মামলার পরামর্শ দেয়।
পরদিন চান্দু মিয়াকে আঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ এনে তার স্ত্রী মতিন মিয়াসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে স্ত্রী শোভা বেগম অভিযোগ করে বলেন,জমি নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মামলা চলে আসছিলো।শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে আমার স্বামীকে তারা প্রথমে মাথায় আঘাত করে পরে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। হত্যার পর সাধারণ মৃত্যু হিসেবে প্রকাশ করে তারা। কিছু বোঝার আগেই আসামিরা আমার স্বামী কে দাফন করে।আমি এই হত্যার বিচার চাই। আর যেন কোন স্ত্রী বিধবা না হয়।