উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে আবারও সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। টানা আট দিন পানি কমার পর গত চার দিনে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৪৫ সেন্টিমিটার ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে নদীর পানি। এতে যমুনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই করছে।
এদিকে, ইতোমধ্যেই নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বসতভিটা ও ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তবে পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে বন্যার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শহর রক্ষা হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ১৭ সেন্টিমিটার নিচে ও কাজিপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে আজ সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এই চার দিনে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ও কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৬৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কয়েক দিন যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বসতভিটা ও বিস্তীর্ণ ফসলি জমি প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বসতভিটা ছেড়ে অন্য স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে বন্যাকবলিতরা। এ সকল এলাকার তিল, আখ, বীজতলাসহ সবজি বাগান তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাহাড়ি ঢল ও উজানের ভারী বর্ষণে গত চার দিন ধরে যমুনার পানি বাড়ছে। আগামী দুই-তিন দিন আরও পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা নেই।