![](http://songbad24.net/wp-content/uploads/2023/02/158.jpg)
চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী, উল্লেখ করে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর করেন। এর অভিজ্ঞতা তিনি পরবর্তীতে লিপিবদ্ধ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে বর্তমান সরকারের কাজে চীন অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে স্পিকারের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সুদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, সফর বিনিময় ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা।
এ সময় স্পিকার বলেন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ, পদ্মা সেতু নির্মাণে কারিগরি সহায়তা, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহায়তা, করোনার ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা ইত্যাদিসহ চীন সর্বদা বাংলাদেশের পাশে আছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ ভূমিতে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান তিনি।
চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চীন সফরের কথা স্মরণ করে বলেন, আন্তর্জাতিক ফোরামে সকল ইস্যুতে চীন বাংলাদেশকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজমান। ভিশন-২০৪১ অর্জনে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে সফর বিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে দুই দেশের সংসদ সদস্যগণ গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে।