সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্ট গার্ডের সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জমকালো আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
১৯৯৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কোস্ট গার্ডের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে দুটি জাহাজ ও দুটি বোট এবং প্রেষণে আসা ২২০ জন নৌ সদস্য নিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড তার পথচলা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় এ বাহিনীতে নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম ও অবকাঠামো সংযোজিত হয়েছে। এর ফলে বাহিনীর অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে ব্যাপক গতি সঞ্চার হয়েছে। অর্জিত হয়েছে নানা সাফল্য। কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে মুক্ত হয়ে নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে।
আগামী দিনগুলোতে দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণে সততা, পেশাদারিত্ব এবং দেশপ্রেমের চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর কোস্ট গার্ড। সর্বোপরি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে জাতির প্রত্যাশা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠার সোপান রচনা করেন। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মহান জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বিল’ উত্থাপন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী কোস্ট গার্ডের নবনির্মিত স্টেশন লক্ষীপুরে দুটি ভবন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা, নাবিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য কোস্ট গার্ড পদক ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক দেন। এছাড়া, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন—বিভিন্ন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, কূটনীতিক, সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ।