আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতা বজায় রেখে ও প্রভাবের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির পক্ষ থেকে দেওয়া বার্তায় সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, বিশেষ মহলের যেকোনো প্রকার প্রভাব বা হস্তক্ষেপের কারণে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সেটি আইন ও আচরণ বিধিমালার আলোকে নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাচন পরিচালনা-২ (অধিশাখা) এর উপসচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচনের মতো একটি সংবেদনশীল, স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এমন কোনো কাজ করবেন না, যার দ্বারা তাদের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয়। সেজন্য প্রতিটি কাজে আইন এবং বিধির যথার্থ প্রয়োগ ও অনুসরণ করতে হবে।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে আগামী ৮ মে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ভোট ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোট ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণে প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১টি এবং চতুর্থ ধাপে দুইটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
একই বার্তায় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে গঠন করা হবে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠনেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নেতৃত্বে এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। এই টিমে বেসরকারি পর্যায়ের দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত হবেন। জরুরি ভিত্তিতে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করে সদস্যদের তালিকা ইসি সচিবালয়ে পাঠাতেও বলা হয়েছে।
এই টিমের কাজের পরিধি তুলে ধরে এতে বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স টিম নির্বাচনের সার্বিক ব্যবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ইসির কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে। এছাড়া, ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমকে উপজেলা এলাকায় নির্বাচন আচরণবিধি ভঙ্গ হওয়া বা ভঙ্গের আশঙ্কা, নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী ব্যয়ের ক্ষেত্রে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় এবং বিধি-৫১ এর বিধান যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে নির্দেশ দেবে।
নির্বাচনের মাঠে প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের কোনো বিষয় নজরে আসা বা অভিযোগ পাওয়া মাত্রই মোবাইল কোর্টের দায়িত্বে থাকা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানোর জন্য বলা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইসির পক্ষ থেকে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ফৌজদারি আদালতেও অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।