বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, সরকারের আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় আপাতত নতুন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আগামী সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব নয়। ইভিএমের নতুন প্রকল্পটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনটি জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম।
ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিকল্পনা কমিশন আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, ইভিএমের প্রকল্পটি বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ পরিকল্পনা কমিশন আমাদের জানিয়েছে এই মুহূর্তে প্রকল্পটির কার্যক্রম প্রক্রিয়া করছে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন প্রকল্পটি বাতিল নয়। তারা বলেছেন এই মুহূর্তে প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে না। অর্থাৎ এই মুহূর্তে এটি চলছে না।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, কমিশন আগেই জানিয়েছে নতুন প্রকল্প পাস না হলে আমাদের কাছে যতগুলো ইভিএম আছে, তা দিয়ে নির্বাচন করা সম্ভব। ততগুলো আসনেই ইভিএম ব্যবহার করবো। ইভিএম ৫০টিও হতে পারে, ৬০টিও হতে পারে; ৭০টিও হতে পারে। আমরা মেশিনগুলো পরীক্ষা করে দেখবো, আমাদের কাছে কতগুলো মেশিন ব্যবহারযোগ্য আছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ব্যবহারের লক্ষে সম্প্রতি দুই লাখ মেশিন কেনার জন্যর জন্য নির্বাচন কমিশন ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার নতুন একটি ইভিএম প্রকল্প প্রস্তাব করে সরকারের কাছে। কিন্তু সেটি স্থগিত হওয়ায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এক্ষেত্রে চলমান প্রকল্পের দেড় লাখ মেশিন থেকেই ব্যবহারযোগ্যগুলো দিয়ে কতগুলো আসনে ভোট নিতে পারবে তা নির্ধারণ করবে ইসি।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে এই ইভিএমগুলো কিনেছিল।