জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতিতে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত ১ মার্চ থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ঈদুল ফিতরে ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রেল ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
সভা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে ট্রেনের টিকিট কিনতে যাত্রীর এনআইডি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কালোবাজারি হটাতে এই সিদ্ধান্ত অনেকটা কার্যকর হয়েছে। ফলে যাত্রীরা গন্তব্যে যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত ট্রেনের টিকিট অনলাইন বা কাউন্টার থেকে কিনতে পারেন।
অন্যদিকে ঈদের অগ্রিম টিকিট কিনতে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে হাজারো টিকিট প্রত্যাশীর যে ঢল নামে, তাদের যে অসহনীয় কষ্ট ভোগ করতে হয় সেটি থেকে মুক্তি দিতে আসন্ন ঈদে সব টিকিট অনলাইনে বিক্রির প্রস্তাব করা হয় সভায়।
ঈদের অগ্রিম টিকিট আগামী ৭ এপ্রিল থেকে বিক্রি শুরু হবে। ওই দিন দেওয়া হবে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। এই অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে পাঁচ দিন পর্যন্ত। একই সঙ্গে ঈদের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। ঈদে বাড়তি চাপ সামলাতে ১০ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে। এছাড়া শিডিউল বিপর্যয় ঠেকাতে ১০টি বাড়তি ইঞ্জিন রেলবহরে যুক্ত হবে।
সভা শেষে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ঈদের আগে কমলাপুরের টিকিট নিয়ে আমাদের যে বড় ধরনের ভিড় হয়, সেটা আমরা এড়ানোর চেষ্টা করছি। মানুষকে প্রযুক্তির পথে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে পারি কিনা সেই চেষ্টাও করছি। মানুষের ঈদ যাত্রা যেন স্বস্তির হয়, মানুষ নিরাপদে যেন বাড়ি যেতে পারে এ জন্যই আমাদের এত চিন্তা।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সুষ্ঠু ট্রেন পরিচালনার জন্য রেলওয়ের কার্যক্রম নিয়ে আগামীকাল (২২ মার্চ) দুপুর ১২টায় রেল ভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে আরও বিস্তারিত জানাবেন রেলপথ মন্ত্রী।