আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। আর মাত্র কিছুক্ষণ পরই ফুলে ফুলে ভরে উঠবে এই মিনার।এর মাধ্যমে স্মরণ করা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সরেজমিনে দেখা গেছে, শহীদ মিনার এবং এর আশপাশের এলাকার দেয়ালগুলোতে আঁকা হয়েছে বর্ণমালা। মূল মিনারসহ চারদিকে নতুন রং করা হয়েছে।
একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছিল শিল্পীদের ব্যস্ততা। পাকিস্তানি শাসকদের অত্যাচার, নির্যাতন আর বঞ্চনার চিত্র ফুটে উঠছে তুলির আঁচরে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালনের জন্য নিরলসভাবে দেয়াল লিখন ও আলপনার কাজ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এই কাজের সঙ্গে জড়িত ঢাবির চারুকলা ইনস্টিটিউটের এক শিক্ষার্থী বলেন, আলপনার সৌন্দর্যে শহীদ মিনার সাজিয়েছি। শহীদ মিনারের কাজটি করতে পারা আমাদের জন্য বড় সৌভাগ্যের বিষয়। আমরা সৌভাগ্যবান।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, একুশের প্রথম প্রহরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের উদ্দেশে কেন্দ্ৰীয় শহীদ মিনারের মূল বেদি প্রস্তুতের কার্যক্রম যথাসময়ে শেষ হবে। এই বছর প্রতিটি সংগঠন, প্রতিষ্ঠান পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবে। ব্যক্তি পর্যায়েও শ্রদ্ধা নিবেদন করা যাবে।
রাত ১২টা ১ মিনিটে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সরকারের মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধী দলের নেতারা।
এরপর পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর প্রধান, ভাষাসৈনিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অনুষদের ডিন ও হলের প্রাধ্যক্ষরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এরপর সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
শহীদ মিনারে নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুরো এলাকা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনার পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে বিশেষ রুটম্যাপ কার্যকর করা হয়েছে।