আসন্ন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার হতে যাচ্ছে প্রায় ৭ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। আর চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা বেশি।
বিশাল আকারের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে পাঁচ লাখ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় ৬৭ হাজার কোটি টাকা বেশি। যেখানে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এনবিআর, এনবিআরবহির্ভূত এবং করবহির্ভূত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা।
অন্যদিকে আসন্ন বাজেটে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হতে যাচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ বাড়ানো হচ্ছে আগামী বাজেটে। টাকার অঙ্কে বাড়তি ৬০ হাজার কোটি টাকা আদায় করতে হবে এনবিআরকে।
এছাড়া এনবিআর বহির্ভূত করের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা এবং করবহির্ভূত রাজস্ব খাত থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা আশা করছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) নাম প্রকাশ না করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে বাজেটের আকার ও রাজস্ব আয়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তবে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।
তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় ও ঘাটতি বাজেটের অর্থায়ন আগামী বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে এনবিআরকে যে বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে, সেটা আদায় করা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ চলতি অর্থবছরে আট মাস শেষে ২৩ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে আছে এনবিআর। আগামীর চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করবে প্রতিষ্ঠানটি, সেটাই দেখার বিষয়।
চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাজেটের আকার ছিল ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির প্রায় ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ওই বাজেট ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি ছিল।
‘কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ২০২২ সালের ৯ জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন।
ওই বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে কর ৩ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ১১ হাজার কোটি, মূসক আদায়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং আয়কর খাতে ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়।