জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক ট্যাক্স দেওয়ার যোগ্য এবং তাদের খুঁজে বের করে ট্যাক্স নেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) সহায়তায় বিদ্যুৎ মিটারের মাধ্যমে বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিককে খুঁজে বের করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে প্রাক-বাজেট সভায় এ কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রণয়ন পূর্ব নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ও টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সঙ্গে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) সঙ্গে কাজ করছি। বাড়ি ও ফ্ল্যাটের মালিক খুঁজে বের করে ট্যাক্স নিতে গেলে অনেকে বলবেন এ বাড়ি আমার নয়, মালিক এখানে থাকেন না। কিন্তু মিটারের প্রকৃত মালিক খুঁজে পেলে তখন অস্বীকার করতে পারবেন না।
করের আওতা বাড়াতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঠিকাদারদের টিন ও রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। অনেক কোম্পানির টিন সনদ দেখা হয়। এটার কারণে রাজস্ব বাড়ছে। অনেক অর্গানাইজেশনের সঙ্গে কাজ করছি। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে কাজ করছি। গাড়ির মালিক ট্যাক্স দেন কি না (সেটা জানতে)। আমরা ডিপিডিসি ও ডেসকোর সঙ্গে কাজ করছি। বাড়ির মালিক খুঁজে ট্যাক্স নেব। ঢাকার সব ফ্ল্যাটের মালিকের ট্যাক্স নেওয়া হবে। মিটারের মালিক ধরে বাড়ির মালিক খুঁজে ট্যাক্স নেওয়া হবে। সেই কাজ আমরা করে যাচ্ছি। আমরা সঞ্চয়পত্রের সঙ্গে ইন্ট্রিগেশন করছি, এভাবে কর বাড়ানোর কাজ করছি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ২০০৭ সালের আগে ব্যক্তি করদাতা ছিলেন না। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ট্যাক্স দিতে সময় লাগবে। অটোমেশন না হলে হবে না। অনেক টাকার মালিক ধরা যায় না, টাকা কম্বলের ভেতর রাখে। তবে, দ্রুত রাজস্ব বাড়বে।