আবারও ব্যয় কমানোর নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। সরকারের নেওয়া ‘সি’ ক্যাটাগরির প্রকল্পে অর্থছাড় স্থগিতের নির্দেশ দিয়ে চতুর্থ দফায় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগের মতোই সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় নতুন বা প্রতিস্থাপক হিসেবে সব ধরনের যানবাহন (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) কেনা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১২ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সই করা এ সংক্রান্ত পরিপত্র সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৩ জুলাই, ২১ জুলাই এবং ১৩ ডিসেম্বর সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে পরিপত্র জারি করা হয়।
নতুন নির্দেশনায় আগের মতোই ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় নতুন বা প্রতিস্থাপক হিসেবে সব ধরনের যানবাহন (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) কেনা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে নতুন আদেশে সরকারের ‘সি’ ক্যাটাগরিভুক্ত প্রকল্পের অর্থছাড় পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। তবে যেসব প্রকল্প ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্তির জন্য নির্ধারিত এবং কোনোক্রমেই মেয়াদ বৃদ্ধির অবকাশ নেই, সেসব প্রকল্পের ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা অর্থ শতভাগ ব্যয় করা যাবে। এ, বি এবং সি সব ক্যাটাগরির প্রকল্পের ক্ষেত্রে এটি কার্যকর হবে।
একই সঙ্গে নতুন নির্দেশনায় আপ্যায়ন ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয়, মনিহারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া অর্থের ৫০ শতাংশ ব্যয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগের নির্দেশনায় শুধু জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্রে আপ্যায়ন ব্যয়, ভ্রমণ ব্যয়, মনিহারি খাতে বরাদ্দ দেওয়া অর্থের ৫০ শতাংশ ব্যয় করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
সরকারের চতুর্থ দফার নির্দেশনায় সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে (পরিচালন ও উন্নয়ন) বরাদ্দ করা অর্থ কীভাবে ব্যয় করা যাবে, তা পরিপত্রে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।