
আসন্ন নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন সকাল থেকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। যারা ঢাকার বাইরে যাওয়ার আশায় গাবতলী টার্মিনালে এসেছেন তাদেরকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এমন চিত্র দেখা গেছে।
হরতালের কারণে বাস টার্মিনাল অনেকটাই ফাঁকা। চিরচেনা সেই দৃশ্য আজ একেবারেই চোখে পড়েনি। বাস টার্মিনালের অন্তত ৩০টি কাউন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে অনেকেই প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস কিংবা ভেঙে ভেঙে ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন।
গাবতলী-পাটুরিয়া রুটে ছেড়ে যাওয়া সেলফি পরিবহনের বেশ কয়েকটি বাসকে চলাচল করতে দেখা গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বাসের এক কর্মচারী বলেন, যাত্রী মিলছে না। এদিকে ঢাকা সিটিতে চলাচল করা বাসেও যাত্রীর ভিড় নেই।
মালেক নামে এক যাত্রী বলেন, মাগুরা যাওয়ার জন্য গাবতলী এসেছিলাম। দুইদিন পরপর এই হরতাল আর অবরোধ। আমরা আসলে কোথায় যাব? এইসব অশান্তি আর যন্ত্রণা ভালো লাগে না।
পরিবারের তিন সদস্য নিয়ে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার জন্য গাবতলী বাস টার্মিনাল আসা রিয়াদ আহমেদ বলেন, পারিবারিক কাজে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছি। গতকাল ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বাস চলবে। আজ এসে দেখি কোনো বাস চলছে না। প্রাইভেট নিয়ে ঢাকার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। ভাড়ায় যে সকল প্রাইভেট চলছে, ড্রাইভাররা ভাড়া ঠিক করার পরে জানিয়েছে গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হলে দায়ভার আমাকে নিতে হবে।
এদিকে হরতালের আগের দিন শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, হরতালে ঢাকাসহ সারাদেশে পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। আন্দোলনের নামে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকাসহ দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানীসহ দেশজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অব্যাহত আছে মামলা ও গ্রেপ্তার।