
গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ বাজার থেকে কুকড়ারহাট পর্যন্ত দীর্ঘ তিন কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
সড়কটির পাকাকরণ কাজ করছে সোহেল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এলাকাবাসীর অভিযোগের তীর স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) লোকজনকে ‘ম্যানেজ’ করে ঠিকাদার দায়সারাভাবে রাস্তার কাজ করছেন। অন্যদিকে ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গাইছে স্থানীয় এলজিইডি অফিস।
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্র জানায়,গজারিয়া ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ বাজার থেকে কুকড়ারহাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৭৪ লাখ টাকা। দরপত্রের মাধ্যমে সোহেল এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। গত ২৯ (জুলাই) ৩৩ গাইবান্ধা ৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন রাস্তাটির নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ তিন কিলোমিটার পুরো বালি ভরাটের কাজ শেষ হয়ে এখন রাস্তার সাববেজের (নিচের স্তর) কাজও শেষ হয়েছে। রাস্তার পাশের মাটি ভরাটও করা হয়েছে।পুরো সাববেজের জন্য ব্যবহৃত খোয়া নিম্নমানের ইটের।
এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোহেল এন্টারপ্রাইজ খোকন মিয়া নামে এক স্থানীয় ঠিকাদারের কাছে কাজটি বিক্রি করে দিয়েছেন
এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তি গোলাম মাওলা সহ আরও একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,রাস্তা নির্মাণে যে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে,এমন খোয়া দিয়ে কোন কাজ হয় না।তাদের আশংকা নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করে ঠিকাদার এভাবে কাজ শেষ করে গেলে অল্পদিনের মধ্যে রাস্তা দেবে ও কার্পেটিং উঠে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
পথচারী ইসমাইল আলী বলেন,পুরাতন ইট খোয়া বানিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ইটগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। এ ছাড়া ভাটা থেকেও দুই ও তিন নম্বর ইটের আধলা এনে খোয়া বানিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।আমরা মানা করা সত্ত্বেও তারা ওই ইটের খোয়া ব্যবহার করেছে।
রাস্তা নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাস্তায় নিম্নমানের খোয়া ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম বলেন,কাজের মান নিয়ে অভিযোগ আমরা পেয়েছি ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে ঠিকাদারকে খারাপ ইটের খোয়ার ব্যবহার না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবং সহকারী প্রকৌশলীকে উক্ত কাজ পরিদর্শনের জন্য পাঠিয়েছি। যদি খোয়ার মান খারাপ হয় তাহলে সে সব খোয়া পরিবর্তন করা হবে এবং ল্যব টেষ্টে পাঠানো হবে।
অন্যদিকে ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানার জন্য ফোন দিলে কিনি ফোন রিসিভ করেননি।