
ঢাকার ধামরাইয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাথুলি বাস স্ট্যান্ডে মহাসড়কের সার্ভিস লেনের ওপর বাস পার্কিং করায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে ও জনসাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে জানা গেছে।
মহাসড়কে চলাচলরত পরিবহন চালকরা জানান, বৈশাখী পরিবহন ব্যানারের বাসগুলো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী সার্ভিস লেনে পার্কিং করা হয়। এছাড়া বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ওঠানামার জায়গায় বৈশাখী বাসের সিরিয়াল দেওয়া হয়। ফলে এই লেনে অন্য যান চলাচল দূরুহ হয়ে পড়েছে। এ কারণে মহাসড়কে চলাচলরত অন্য বাসগুলো স্টপেজের আগে রোড ডিভাইডারের কাছে যাত্রী ওঠানামা করান।
রবিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কের সার্ভিস লেনের ডিভাইডার ঘেঁষে ১৫টি বাস পার্কিং করে রাখা হয়েছে। এছাড়া একটি বাস যাত্রী তুলতে দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রী তোলার জন্য সিরিয়ালে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে আরও তিনটি বাস।
বৈশাখী পরিবহনের চালকরা বলেন, আর কোথাও পার্কিংয়ের জায়গা না থাকার কারণে এখানেই গাড়ি পার্কিং করেন তারা। এসব দেখভালের জন্য লাইনম্যান ও ম্যানেজার রয়েছে।
বৈশাখী পরিবহনের বাথুলি বাসস্ট্যান্ডের লাইনম্যানের দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, “বাসগুলো পার্কিং করা হতো পার্শ্ববর্তী একটি মাঠে। তবে বাস ওঠানামা করানোয় সমস্যা হওয়ায় এখন সড়কে রাখা হয়।”
তিনি বলেন, “বেশিরভাগ বাস তো অন্যখানে রাখা হয়। আর সিরিয়ালের দুই তিনটা বাস স্টপেজে রাখা হয়। তবে আজ কয়েকটা সড়কের পাশে পার্কিং করা হয়েছে।”
বৈশাখী পরিবহনের বাথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকার ম্যানেজার সেলিম বলেন, “ওখানে লাইনম্যান আছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করে দেখব। গাড়ি ওখানে ২-৩টা করে থাকে। বেশি থাকে না। বিষয়টি দেখছি।”
এদিকে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে গাড়ি রাখায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে বলে জানান যান চালকরা। মিরাজ নামে এক কাভার্ডভ্যান চালক বলেন, “আমি নিয়মিত এদিক দিয়ে যাই। সড়কে তারা বাস ভিড়িয়ে রাখে। চলাচল করা কষ্ট হয়ে যায়। এখন যেমন ১০ মিনিট ধরে দাঁড়িয়ে আছি। সড়কের বাস না সরালে যাওয়ার উপায় নেই।” একই কথা বলেন নাজমুল হাসান, জসীম উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন চালক।
নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর ধামরাই শাখার সভাপতি নাহিদ মিয়া বলেন, মহাসড়কে কোনোভাবেই বাস রাখার কোনো নিয়ম নেই। সরকার কোনো পরিবহন সড়কে চলাচলের অনুমোদন দিলে সেটির টার্মিনাল আছে কি না সেটি দেখা হয়। তারপরই রুট পারমিট দেওয়া হয়। এই পরিবহনের অনুমতি আছে কি না বিষয়টি জানা নেই। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া সড়কে পেতে হলে নিয়ম অনুযায়ী চলতে হবে। প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখার অনুরোধ জানাই।
এ বিষয়ে গাজীপুর রিজিয়নের গোলড়া হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বলেন, “আমরা সেখানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। রেকারিং করি। মামলা দেওয়া হয়। তবে আবারও রাখে। সবসময় তো আর সেখানে থাকা সম্ভব না। ওসি সাহেব কয়েকদিন আগে তাদের ডেকে বলে দিয়েছেন সেখানে বাস রাখা যাবে না। আমরা দেখব বিষয়টি।”