বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন মো. গনি মিয়া বাবুল বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আব্দুর রব ছেরনিয়াবাত ইতিহাসে চিরঞ্জীব। আব্দুর রব ছেরনিয়াবাত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত একজন কৃষিবান্ধব মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী পরিষদের অন্যতম সদস্য হিসেবে দেশের কৃষি উন্নয়ন, ভূমি সংস্কার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও আব্দুর রব ছেরনিয়াবাতসহ যারা শহীদ হয়েছেন তাদের অবদান নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে তিনি যে বাড়িতে শহিদ হয়েছিলেন, মিন্টু রোডের সে বাড়িটিতে ছেরনিয়াবাত ভবন নামকরণ করার জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান। তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মজীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী পরিষদের সদস্য শহিদ আব্দুর রব ছেরনিয়াবাতের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ এর উদ্যোগে ১৯ আগস্ট সকালে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইউনুস আলী প্রামানিক, বরিশাল বিভাগ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তফা কামাল, আওয়ামী লীগের দপ্তর উপ-কমিটির সদস্য খন্দকার তারেক রায়হান, বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদের সভাপতি শেখ শরিফুল ইসলাম, ন্যাপ ভাসানীর সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সাহা, বাংলাদেশ জনতা সাংষ্কৃতিক পরিষদের সভাপতি শেখ বাদশা উদ্দিন মিন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম, নারী নেত্রী শেফালি বেগম, যুব নেতা মোঃ আবদুল্লাহ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক সমির রঞ্জন দাস ও দপ্তর সম্পাদক কামাল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আব্দুর রব ছেরনিয়াবাদ একজন নির্লোভ, নিরহংকার, সৎ ও মানবিক মানুষ ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ভূমি সংস্কার, নদী ভাঙ্গন রোধ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সাইক্লোন প্রতিরোধে বিশেষ অবদান রেখেছেন।